অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ধর্মীয় উসকানির মামলায় খালেদাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ

0
.

ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

তবে আজ সোমবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমদ তালুকদার তার জামিনের আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে করা মামলায় খালেদাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য গুলশান থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমদ তালুকদার জামিনের যে আবেদন করেছেন তা নথিভুক্ত করেন আদালত।

শুনানিতে তিনি বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ মামলায় আমরা খালেদার ওকালতনামা নিয়ে এসেছি। মামলায় আমরা তার জামিন প্রার্থনা করেছি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার জামিন মঞ্জুর করা হোক। এ সময় বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন।

মামলার অভিযোগ, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।

‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়, যোগ করেন তিনি।’

ওই বক্তব্যের জের ধরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওইদিনই আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে।– ইউএনবি