অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ওসি আজিজের বিরুদ্ধে ৭০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে ব্যবসায়িকে হয়রানীর অভিযোগ

4
চকবাজার থানার সাবেক ওসি ও বর্তমান নগর বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক আজিজ আহমেদ।

চট্টগ্রামে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক কোচিং ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প ও অলিখিত চেকে স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের চকবাজার থানার সাবেক ওসি ও বর্তমান নগর বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ রাশেদ মিয়া। এসময় তিনি পুলিশ পরিদর্শক আজিজ আহমেদের হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

.

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাশেদ বলেন-দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি এমসি এইচ ও ইউনি এইড কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। আইটি অভিজ্ঞতার সুবাদে গত কয়েকবছর আগে চকবাজার থানার সাবেক ওসি আজিজ আহমেদের সাথে তার পরিচয় হয়।

ওসি আজিজের ব্যক্তিগত সকল আইটির কাজ তাঁকে দিয়ে করাতো। ওসি আজিজ নিয়মিত তাঁর প্রতিষ্ঠান এমসি এইচ ও ইউনি এইড কোচিং সেন্টারে আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে কোচিং সেন্টারের উপর ওসি আজিজের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। বিভিন্ন সময় রাশেদের কাছে টাকা দাবি করতেন এবং চাপ দিতেন। বিভিন্ন দফায় প্রায় আট লক্ষ ধার দেন রাশেদ। পরে ওই টাকা ফেরত চাইলে তিনি রাশেদেও সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন।

গত বছরের আগষ্ট মাসে ওসি আজিজ আহমেদ থানায় আসামীর সাথে বৈঠক করার অপরাধে স্ট্যান্ডরিলিজ হন ও পরবর্তীতে সিটি এসবিতে যোগ দেন। এরপরই আজিজ আহমেদ আমার কাছে তাঁর চাকুরীর সুবিধাজনক স্থানে পদায়নের জন্য ৭০ লক্ষ টাকা দাবী করেন।

.

টাকা দিতে অপারগ হলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশ আজিজ আহমেদ ও তার সহযোগী আবুল মনসুর আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে আমার কোচিং এ আসে এবং আমার কাছ থেকে পুনরায় ৭০ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা দুইজন মিলে জোর করে সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর আদায় করে। সেদিন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।

পরবর্তীতে ১৬ই অক্টোবর পুলিশ আজিজ আহমেদ ও আবুল মনছুর আজাদ পুনরায় কোচিং সেন্টারে আসেন ৭০ লক্ষ টাকা দাবী করেন। তিনি রাশেদকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান ও দুইটি তালা প্রদর্শনপূর্বক কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

একপর্যায়ে আজিজ আহমেদ ড্রয়ারের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে রক্ষিত ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর হিসাব নং ১৩৩.১০১.৯০৩০ এর চেক নং ২৫৫৭৫৮২ হতে ২৫৫৭৫৯০ মোট ৯টি চেক ও ব্রাক ব্যংক লিমিটেড এর হিসাব নং ১১০৪১০৩১০৮১৯৩০০১ এর চেক নং ৪০৫৭৫৬১ ও ৪০৫৭৫৬২ দুইটি চেকসহ সর্বমোট ১১টি চেক নিয়ে নেন।

এ ব্যাপারে গত ১৪ই ডিসেম্বর সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহাএর নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

এ ব্যাপারে সিটিএসবির পরিদর্শক আজিজ আহমেদের সঙ্গে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আামি আপনারদের অফিসে এসে কথা বলব। সকল ডকুমেন্ট আপনাদের দেখাব।’

৪ মন্তব্য
  1. Ayaar Muhammad বলেছেন

    শুনেছি, দিতে সক্ষমদের কাছেই চাঁদা চায়!

  2. Nasir Uddin বলেছেন

    ‌চো‌রে ভ‌রে গে‌ছে এদেশ

  3. মুহাম্মদ আলি বলেছেন

    পুলিশকে বিশ্বাসের শাস্থি পেতে হবেনা???

  4. Oli Ahmed বলেছেন

    অভিযোগ যদি সঠিক হয় তাহলে এরা দেশ ও জাতির শত্রু। এদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।