অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালী থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চান বোরহান উদ্দীন মো. এমরান

0
.

পূজন সেন, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম:
বোরহান উদ্দিন মো. এমরান। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক তিনি। আপাদমস্তক আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত।

ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে সহিংস বা প্রতিহিংসার লেশ নেই তার মধ্যে। এ ভালোমানুষটাকে ভালোবেসে এক ঝাঁক তরুণ এবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে চাইছেন।

তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে নৌকা প্রতীকেই নির্বাচনে যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, নয়তো নয়। বোরহান উদ্দিন এমরান বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর রাখেন। তিনি চাইলেই এলাকাবাসীর জন্য বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই করবো।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম কধুরখীলে ১৯৬২ সালে জন্ম এ প্রচার বিমুখ মানুষটির। ১৯৭৮ সালে ছাত্রলীগের যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতি জীবনের হাতেকড়ি, ১৯৮২ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৮৩ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সভাপতি, ১৯৮৪ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় (হাবিব-অসিম কুমার উকিল) পরিষদের সদস্য পদ লাভ করেন। বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। সদালাপী এ মানুষটি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

বোরহান উদ্দিন মো. এমরান আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বলেন, এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে দলের অনেকেই প্রার্থীতা চাইতে পারেন, আমিও চাইবো।

তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে জীবনের ৪৬টি বছর ধরে সাধনা করছি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়া এত সহজ নয়, ভালোবাসা পেতে কাজ করতে হয়। আমি সন্ত্রাসীও নই, চাঁদাবাজও নই-এই সৎ সাহস আছে বিধায় আমি কোনো সন্ত্রাসীকে ভয় করি না। সমাজে নানান মতের ও আদর্শের মানুষ থাকে। তাই সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় মানবিক সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা এখন খুবই জরুরী।

নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে আমি একজন মাঠের কর্মী। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের মানুষ করতে পারলেই হলো। একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকারই বা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে তো আমরা সবাই আছি। তাদের সাথে সাথে আমাদের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই নিজেকে নিয়ে এতো চিন্তা করি না।