অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকার দেশে সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায় : শামীম

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে বিএনপি যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে সেগুলোর কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা ও গ্রেফতার প্রমাণ করে সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায়। বিএনপি কোনো কর্মসূচি দিলে তারা ঠিক একই সময়ে বারবার প্যারালাল কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপি তারিখ, সময় ও স্থান পেছালে তারাও তারিখ, সময় ও স্থান পরিবর্তন করছে। তাদের দেউলিয়াপনা দেখে মনে হচ্ছে তারা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক।এটা ক্ষমতাসীনদের চরম নৈতিক পরাজয়, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা সেটা বুঝতে পারছে না।যেনতেনভাবে দেশের ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্ক্ষা শেখ হাসিনাকে বেসামাল করে দিয়েছে। তাই আওয়ামীলীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে।

তিনি আজ সোমবার (৩১ জুলাই) বিকালে নগরীর কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

.

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশে যাওয়া চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাদেরকে আগের দিন গ্রেফতার করেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ হামলা করেছে। কিন্তু গ্রেফতার করেও অবস্থান কর্মসূচি ও মহাসমাবেশকে ঠেকাতে পারেনি। এই মহাসমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার পতনের ঘন্টা বেজে গেছে। আগামীতে আমাদের কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যদি হামলা করে তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা নাকি গণতন্ত্রের মানস কন্যা। কিন্তু আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের নয়, স্বৈরতন্ত্রের দানব কন্যা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।আগামীতে যেকোন কঠিন কর্মসূচি পালনে বিএনপি প্রস্তুত।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সরকার গ্রেফতারের নাটক করেছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে মজার মজার খাবার খাইয়েছেন। আমরা জানতে চাই, তাদের সাথে আমাদের নেতাকর্মী যাদের গ্রেফতার করেছেন তাদেরকে কি খাবার খাইয়েছেন? বরং ডিবি অফিসে গ্রেফতারকৃতদের জন্য যারা খাবার নিয়ে গেছে তাদেরকে গ্রেফতার করেছেন। বড় দুজন নেতাকে ছেড়ে দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন, মামলা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রজেক্ট শুরু হয়ে গেছে। বিগত নির্বাচনের মতো মনিটরিং সেলের নামে বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনাগোনা আবার শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এসব করে কোন লাভ হবে না।সরকারকে বিদায় জানানোর জন্য সারাদেশের মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে। এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জেল জুলুম হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের জয় সব সময় হয়েছে। যুগে যুগে স্বৈরাচারের পতন ইতিহাসে সাক্ষী আছে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, ভিপি মোজাম্মেল হক, হাজী রফিক, মো: ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, নূরুল কবির, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, মোশারফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মঞ্জুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ।