ক্যাসিনোর টাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠায় আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিরি সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার কি বসে বসে আঙ্গুল চুষে।
বুধবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি টাকার খনিতে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপি-জামায়াত করা লোকদের আওয়ামী লীগের বড় বড় পদে শেখ হাসিনা কেন বসিয়েছেন-এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘খন্দকার মোশতাক যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাই জানে। সেই মোশতাকের রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। সে এখন আওয়ামী লীগার হয়েছেন।’
আগের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর মতো বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জিয়া পরিবারের বিষোদগারের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
এতদিন কি বাংলাদেশের প্রশাসন যে এই ক্যাসিনো গুলোর থেকে মাসিক টাকা পেত সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট পৌঁছে ছিল নাকি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন এই সকল অবৈধ ব্যবসার সাথে কারা জড়িত এবং কারা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে সেটি বের করতে পারলেন তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করলেন। আর এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে আমরা এমন কিছু মানুষের সন্ধান পেয়েছি যারা তারেক রহমানকেও টাকা প্রদান করে থাকে কারণ ক্ষমতার পালাবদলে এরা অবশ্যই তারেকের মানুষ হিসেবে আবারও বাংলাদেশ কাজ শুরু করবে সেটি সকলেই জানে। এখন থেকে আর কেউ তারেককে কোন ধরনের টাকা পাঠাতে পারবে না কারণ সরকার ভালো করেই জেনে গিয়েছে কারা এই ধরনের কাজ করে।
তোমার নামও তো এসেছে ঐ ব্যপারে কি বকবেন
আমরা খুব ভাল করেই জানি বিএনপি’র এমন একজন ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে যে কিনা ক্ষমতার পালাবদলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন শুধুমাত্র নিজের অপকর্মগুলোকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তিনি যে মানুষগুলোকে টাকা প্রদান করতেন সেই মানুষ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তারেক রহমান। যে সকল অবৈধ ক্যাসিনো বাংলাদেশে চলমান রয়েছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র সকল লোকেরাই জড়িত এবং মানুষেরা সেখান থেকে তারেক রহমানকেও টাকা পাঠিয়ে থাকেন।